মিডেলইস্ট হয়ে দেশে ফেরা আমার কক্ষনো ভাললাগে না। কিন্তু কি আর করা। প্যাসিফিক পাড়ি দেয়া বিমানগুলোর গগণচুম্বি ভাড়া বাধ্য করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে তেলের দেশে থেমে বাড়ি ফিরতে। দুবাই এয়ারপোর্টে নেমেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। হিউস্টন থেকে পনের ঘন্টা দুইহাত বাই দেড়হাতের সংকীর্ণ জায়গায় বন্দী থেকে, অসার হাত-পা নিয়ে কোনমতে নেমে শুনি ঢাকাগামী প্লেন ঘন্টা তিনেক লেট। দু-ঘন্টা লেওভার মিলিয়ে পাঁচ ঘন্টা অহেতুক বসে থাকতে হবে। মার আদর, শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে চিরচেনা মা মা গন্ধের নির্ভরতা, সব কষ্ট মুছে দেয়া মৃদু-হাসিমাখা বাবার প্রশ্রয়ি মুখ আর মাত্র ছয় ঘন্টা দূরে—এই বলে প্লেনের শেষ অসহ্য প্রহরে নিজেকে শান্তনা দিয়েছি। এখন এই বাজারি-আলো ঝলমলে ডিউটিফ্রির দাবানলে দগ্ধ হতে হবে, ভাবতেই পাগল পাগল লাগছিল। হতদরিদ্র হতভাগ্য গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট আমি, পকেটে নেই কানাকড়ি, সবচেয়ে সস্তা এয়ারলাইনের ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া জোগাড় করতেই হিমশিম--নইলে বেশ বাজারসদাই করে সময় পার করা যেত! তবু সময় কাটানোর জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম।
দুবাই যেন সাউথ-ইন্ডিয়ানদের ঘরবাড়ি-রঙিন শাড়ির সাথে কেডস আর লম্বা বেনীতে সাদাফুল গোজা, অনেক সোনায় মোড়া প্রতিবেশীদেশের সুকন্যাদের দেখে অবাকই হচ্ছিলাম। বৃদ্ধা, প্রৌড়া, তরুনী সকলেরই একই সাজ। মাথা নেড়ে নেড়ে তামিল ভাষায় কিচিরমিচির করে কি যে খোশগল্প ওদের। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাধুনিকা, মডেলসমা বান্ধবীরা থাকলে অর্থপূর্ণ, ঈঙ্গিতময় কটাক্ষে একে অন্যকে বলত, “এমা দেখেছিস, কি ক্ষ্যাতরে বাবা!” আমি অবাক বিস্ময়ে এই প্রথম লক্ষ্য করলাম নিজেদের সংস্কৃতি আর জাতিগত পরিচয়কে আকঁড়ে ধরে গর্বের সাথে সারা বিশ্বকে দেখানোর এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর আমরা? এখন নিঁখাদ বাংলায় একটানা পাঁচ মিনিট কথা বলা মানে, নট কালচারড এনাফ, নট ওয়েল ভারসড ইন দা ল্যাংগুয়েজ দ্যাট ম্যাটারস, অর্থাৎ সোজা বাংলায় অশিক্ষিত! গড়্গড়িয়ে ইংলিশ না বলতে পারলে নিদেনপক্ষে ব্যাংলিশ বলাটাই আজ ফ্যাশন। দেশের বাইরে পা দেয়া মাত্র জিন্স আর টিশার্ট বা ফতুয়াতে সুইচ করতে হয়, কমফোর্ট এন্ড ব্লেন্ডিং ইন যে খুব ইম্পর্টেন্ট! সাধারণ সুতিশাড়ি, টিপ, রেশমি চুড়ি পড়বার কথা ভাবলেই গায়ে জ্বর আসে আজকাল আমাদের। পার্টি ছাড়া কেউ শাড়ি পড়ে নাকি প্রবাসে। ওদের রঙে রঙ মেলানোর, জাতে উঠাবার কি আপ্রাণ প্রচেষ্টা আমাদের। হায়রে!
এসব আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতে ঘুরতে ঘুরতে এক এরাবিয়ান সুভেনিরের দোকানে ঢুকে দেখি এক দক্ষিন ভারতীয় “আম্মা” একটা জেসমিন পারফিউমের দাম নিয়ে ফিক্সড প্রাইসের দোকানে অত্যুৎসাহে দামাদামি করার চেষ্টায় নিয়োজিত! আমি এগিয়ে গিয়ে পারফিউমের টেস্টার বোতল পরখ করে, আর দাম দেখে রীতিমত পাগলপারা হয়ে গেলাম। মার জন্য এর থেকে ভাল উপহার আর কিছুই হতে পারে না। দামও নাগালের মধ্যে। যখন ছোট ছিলাম, হাল্কা হাস্নাহেনার এই সুরভিতে সজ্জ্বিতা মা আমাকে নিয়ে বেড়াতে যেতেন খালার বাসায়—আমার স্পষ্ট মনে আছে। রিক্সায় মার পাশে বসে মায়ের গায়ের গন্ধ শুকতাম প্রানভরে। এখন ঢাকায় এটা আর পাওয়া যায় না। একই নামে মাথা ধরিয়ে দেয়া ঝাঁঝালো যে দূর্গন্ধি (সুগন্ধির একদম বিপরীত মেরুর বাসিন্দা) পাওয়া যায়, তা নকল বৈ কিছু নয়। খুবই ফুরফুরে মনে (দামাদামি না করেইঃ)) কিনে নিয়ে বেড়িয়ে এলাম হতাশ চেহারার দক্ষিনি “আম্মার” সামনে দিয়ে! ৬ ডলারের জিনিষ ৫ ডলারে কেনার চেষ্টা করিনি বলে মনে মনে গাল দিয়েছেন কিনা কে জানে। এত টায়ার্ড লাগছিল। ঠিক করলাম, আর ঘুরাঘুরি নয়, আমার গেইটের সামনে গিয়ে বসে থাকব।
ঘড়ির কাটা যেন ঘুরতেই চায় না। পাঁচ ঘন্টা ঘুরতে কাটার কম-সে-কম দশ ঘন্টা লাগল। বোর্ডিং এর জন্য ডাক এল অবশেষে। সাথে সাথে রীতিমত হাঙ্গামা লেগে গেল। জোন অনুযায়ী বোর্ডিং হবার কথা। কিন্তু কিসের কি। সবাই এক সাথে যেতে চায় নিয়মকে বুড়ো-আঙ্গুল দেখিয়ে। কেন যে আমরা এমন! ঊফফফ! এয়ারলাইনের কর্মীরাও হাল ছেড়ে দিলেন। “আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে” বোর্ডিং হল। ঠেলাঠেলি করতে না পেরে সবার শেষে ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে প্লেনে ঊঠলাম, নিজের আসনের কাছে গেলাম, গিয়েই মনটা ভয়াবহ রকমের খারাপ হয়ে গেল। ভাগ্যের একি পরিহাস! আমার পড়েছে মাঝের সিট। মানে হল সারারাস্তা এলার্ট হয়ে, জড়োসড়ো হয়ে কাটাতে হবে, বের হওয়ার, হাটাহাটি করার বা ঘুমানোর ---কোনটারি আশা নেই।
সহযাত্রীদ্বয়কে দেখে মনে হল মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের রপ্তানীকৃত সৌভাগ্যবান জনশক্তির অংশ। আইলসিটের দেশীভাইটি বত্রিশ দন্ত বিকশিত করে স্বাগত জানালেন, উঠে আমাকে বসার জায়গা দিয়ে বল্লেন, “সিস্টার ইঊ বাংলাদেশী?” উনি আমার ক্যারি-অন ঊপরে তুলে দিলেন। প্রতিদানে আমি একগাল হেসে উনার প্রশ্নের উত্তরে মাথা নাড়িয়ে নিজের আসনে কোনমতে বসতেই নাসিকারন্ধ্র বেয়ে আসা তীব্র কটুগন্ধের আক্রমনে দিশাহারা হয়ে গেলাম। মোজার উৎকট গন্ধ! ডাক ছেড়ে তখন “ওরে মারে বাবারে” বলে কাঁদতে ইচ্ছা করছিল। কি করব এখন আমি? আগামী সাড়ে চার ঘন্টা থাকব কি করে? জানালার পাশের মধ্যবয়সি ভদ্রলোক অনির্মেষ তাকিয়ে আছেন বাইরের ঘন অন্ধকারের দিকে, হাতে শক্ত করে একটি পার্সের মত ব্যাগ আঁকড়ে আছেন—তার বেদনাক্লিষ্ট মুখের দিকে তাকিয়ে উনাকে আমার সাথে সিট বদলের অনুরোধ করারও সাহস পেলাম না।
সারাজীবন দেখেছি কিছুক্ষন পরে যেকোন কড়া গন্ধ সহনীয় হয়ে যায়—কিন্তু মোজার গন্ধের তীব্রতা যেন বেড়েই যেতে লাগল--বমি বমি লাগতে শুরু করল। হঠাৎ আর্কিমিডিসের মত ইউরেকা বলে চেঁচানোর লোভ সম্বরন করে নুতন আইডিয়াকে কাজে লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। আমার সিটের উপর রাখা কম্বলের প্লাস্টিকের মোড়ক হ্যাচকা টানে চটজলদি খুলে, মার জন্য কেনা পারফিউমের রপিং সাবধানে খুলে ফুস-ফুস করে ছড়িয়ে দিলাম হাস্নাহেনার সৌরভ কম্বলের পরতে পরতে। যে মহামনিষী বলেছিলেন “প্রয়োজন আবিষ্কারের জননী”, তার বুদ্ধি আসলেই ভাল ছিল, আমারটাও নেহাত খারাপ না—এই খুশীতে খানিক আত্মশ্লাঘায় ভুগে আপাদমস্তক মুড়ে ঘুমানোর চেস্টায় নিয়োজিত হলাম। ঘুমের দেশের রাজপুত্রের সাথে মাত্র চোখাচোখি হয়েছে, মদির কটাক্ষে, ওষ্ঠপ্রান্তে কুহেলিকাময় স্মিত হাসির আভাসে তাকে ভোলাব—এমন সময় আমার ডান কাঁধে তীব্র ঝাঁকুনি—“সিস্টার, ও সিস্টার, উঠেন উঠেন, খানা দিতেছে।“
হুড়মুড় করে উঠে কম্বল সরিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। আরব্য রজনীর সুন্দরী লায়লা যেন আমার সামনে দাঁড়িয়ে। “ম্যাম উড ইউ লাইক সাম থিং টু ড্রিংক?” আরবীয় টানে একি সুর-লহরী! আমার ঘোর লাগা বিহবল চেহারা দেখে আমার পাশের দেশীভাই করুনা করে আমার হয়ে বললেন, “সিস্টার নো ইংলিশ, গিভ অরেঞ্জ জুস।“ অনিদ্য সুন্দরী বিমানবালা তার কথামত কমলার রসে পেয়ালা ভরে আমার সামনে রেখে মৃদু হেসে পরের রো-তে চলে গেলেন। আমি আমার পরম উপকারী ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বেকুব মার্কা হাসি দিলাম। তখনি পিছনে শুরু হল ভয়ানক চেঁচামেচি।
ঘটনা কিছুই না। পাইলট টারবুলেন্সের আশঙ্কায় সিটবেল্ট বেঁধে বসে থাকতে বলেছেন। কিন্তু পিছনের সিটের আরেক দেশীভাই সিট ছেড়ে উঠে গিয়ে লায়লার কাছে আরেকটা কোকের ক্যান চাইলেন। লায়লা উনাকে বার বার সিটে গিয়ে বসতে বলছেন, কিন্তু ভাইসাবও নাছোড়বান্দা। লায়লা বলেই যাচ্ছে একটার বেশী ক্যান দেয়া যাবে না, সিটে গিয়ে বসতে। ভাইজান বলেই যাচ্ছেন “প্লিজ ওয়ান মোর কোক।“ অন্য আরেক বিমানবালা বেশ রাগান্বিত চেহারা করে এগিয়ে এলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। লায়লার চেহারায় হতাশা, বিরুক্তি, অবজ্ঞা আর ঘৃনার মিশেল। আমার কেমন যে লাগছিল। মনে হচ্ছিল ও আমাদের দেশ সম্পর্কে কিইনা ভাবছে। গরীব তলাহীন ঝুড়ির মানুষগুলা লোভী, অসভ্য, জংলী। লজ্জ্বায় মাথা কাটা যাচ্ছিল। তখনি আমার পাশের ভাই বললেন, “শালীর তেজ কত দেখলেন আপা! পয়সা দিয়া টিকেট কিনছে, কোক দিবি না ক্যান। তোর জ্যাব থেইক্যা তো দিতাছস না!”
হঠাৎ কি যে হল আমার। বুকের ভিতরের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি যেন ফুঁসে উঠল দারুন রোষে! কাটা চামচ নামিয়ে রেখে ঠান্ডা চোখে, কঠিন স্বরে বল্লাম, “আপনার লজ্জ্বা করে না এই ভাষায় কথা বলতে? দেশের মান-সন্মান আপনাদের জন্যই ধূলাতে মিশে। এত লোভের কি দরকার। উনি জীবনে কোক খান নি? আরেকটা দিয়ে উনি কি করবেন? কি ভাবল ওরা বলেন? যে আমরা ফকির মিসকিন, লোভী। ছি ছি। লজ্জ্বায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে। ছি!”
আমার অগ্নি-স্ফুরণে চঞ্চলমতি ভাইটি মাথা নিচু করে বসে রইলেন আর আমাকে হতবাক করে দিয়ে পাশের নিশ্চুপ ভাইটি কথা বলে উঠলেন। “আফা, আমগোরে মাফ কইরা দেন। আমরা অশিক্ষিত লেবার মানুষ। করিম কোকটা নিজের জন্য চায় নাই আফা। ওর একটা চার বছরের ছেলে আছে, তার জন্য চাইছে।“
ওনাকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলাম, “যার জন্যই হোক, ভিক্ষা করা অনুচিত। দেশের মানহানি করা কত বড় অন্যায় জানেন? একজনের জন্য পুরা বাংলাদেশীদের ওরা ফকির বলবে। সেটা কি ঠিক, আপনিই বলেন?“
“আপ্নে ঠিকই বলতাছেন আফা। কিন্তু আমার কথাডা আগে হুনেন-পরে বিচার কইরেন। আমরা ব্যাকতে কুয়েতে এক কোম্পানীতে কাম কইরতাম—হাইওয়ে পরিষ্কারের কাম। এক হপ্তাহ আগে আন্ডা ব্যাকতের চাকরী গেছে গই বিনা নোটিসে। এক্কই কামের লাইগ্যা ইন্ডিয়ান গুলারে আন্ডার তুন ডাবল বেতন দেয় আরবেরা। যে বোনাসের কথা কইয়া চাকরী দিছিল, হেগিনের কিছুই দেয় ন গত চাইর বছর। আন্ডা কইছি ন্যায্য বেতন দিতে, বোনাস দিতে, নইলে অনশণ করুম, হেই লাইগ্যা আমগোরে বরখাস্ত করছে। বাসা থেইক্যা ধইরা আইনা প্লেনে তুইলা দিছে। আফা আমার পাঁচ বচ্ছরের একটা মাইয়া আছে, তারে এক বছরের থুইয়া আইছি এই দেশেথ। এই দেহেন আফা আমার আম্মার ছবি।“ তিনি তার সেই পার্স থেকে কন্যাকে কোলে নিয়ে তার স্ত্রীর একটি প্রায় দোমড়ানো, মোচকানো ছবি বার করে আমার হাতে দিলেন।
কান্নারুদ্ধ গলায় বলে চল্লেন “গত চার বছরের কামাই দিয়া ধারকর্জ শোধ দিছি। মেয়েটার জন্য কিছুই কিনবার পারি নাই আফা। বউটারেও কিছু দিবার পারি নাই। তারে কইছিলাম তার আর আমার ছোট্ট আম্মার লাইগ্যা সোনার চেইন কিইন্যা নিমু। এখন খালি হাতে দেশে যাইতাছি। দেশে গিয়া কি করুম, কেমনে মেয়েডারে মানুষ করুম কন—মইরা যাইতে মন চাইতাছে আফা। করিমরে, আমগোরে মাফ কইরা দেন আফা।“
আমি নিশ্চুপ, আমারো মরে যেতে ইচ্ছা করছিল। একী করলাম আমি! চোখ মুছে তিনি আবার বল্লেন,
“আপ্নের গন্ধ লাগতেছে জানি আফা। এই দেশেথ এমন ঠাডাপরা গরম, উনিফরমের মোটা কাপড়ের তলে ফোস্কা পইরা গইল্যা ঘাও হইয়া গেছে। ঘাও থেইকা এমন দূর্গন্ধ বাইর হয়। দেশের ইজ্জ্বত ধূলায় মিটাইতে চাই নাই আফা। মাফ কইরা দেন।“
দেশে ফেরার, স্ত্রীকন্যার সাথে মিলনের খুশির বদলে বেদনা ভারাক্রান্ত জীবনযুদ্ধে পরাজিত মানুষটিকে দেখে বুকটা ভেঙ্গে যাচ্ছিল। এদের রক্ত পানি করা টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে, ঘুরে সব মন্ত্রী উপমন্ত্রীর গাড়ির চাকা, আর তাদের হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের বেলা কেউ নেই। কুন্তিও কর্ণকে এত অনাদর করেনি, যা করেছে আমার মাতৃভুমি এই খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতি। রাগে ক্ষোভে মরমে মরে গেলাম। দ্বিতীয়বারের জন্য লজ্জায় মাথা কাটা গেল আমার। মাথা নিচু করে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। উৎকট সেই দূর্গন্ধকে অনেক আপনার মনে হতে লাগল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন